হয়তো আপনি এই ভুল, এই ভুল কাজটি কাজটি বার বার করছেন, যেমন দরুন আপনি কোনো চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেছেন বা অফিসের মিটিংয়ে অংশ গ্রহন করবেন কিংবা কোনো ফরমাল প্লেইসে যাবেন, ঐ প্লেইসে আপনাকে পরে যেতে হবে ডেপেনিটলি ফরমাল পোশাক। সে ক্ষেত্রে ফরমাল শার্টাও গুরুত্বপূর্ণ। ঐখানে যদি আপনি কোন কেজুয়াল শার্ট পরে যান কিংবা কোনো কেজুয়াল জামা কাপর পরে যান তাহলে ফাস্ট ইম্পের্শন যে একটা কথা থাকে সেখানে আপনি প্রথমেই ডাব্বা খাবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে পড়ে যেতে হবে ফরমাল শার্ট। এখন আপনি বলতে পারেন আমি তো জানি না ফরমাল শার্ট কি কিংবা ফরমাল শার্ট কিভাবে পরে। এটার জন্য আমি আছি, কোনো চিন্তা নাই।
এই পোস্টে আমি আপনাদেরকে বলবো আপনি কি ভাবে পারফেক্টলি ফরমাল শার্ট চোজ করবেন। যেখানে আপনাকে লাগবে অনেক জেস, অসাম এবং হেন্ডসআম।
ফর্মাল শার্ট কিনার আগে এই গুনাগুন গুলো আপনাকে মাথায় রাকতে হবে একটা পারফেক্ট ফরমাল শার্ট কিনার জন্য ।
১মত, আপনার শার্টের লেন্থ , লেন্থ মানে আপনার শার্টের লম্বা কতটুকু পর্যন্ত হবে। এইখানে আপনি কিছু জিনিস মাথায় রাকবেন। যেটি হচ্ছে সেটি হলো আপনার শার্টি যেন আপনার হিপকে কাবার করে। একটা জিনিস মাথায় রাকতে হবে ফরমাল শার্ট শুধু মাত্র তৈরি করা হয়েছে ইন করে পরার জন্য। এজন্য ফরমাল শার্টের প্রথম নিয়ম হচ্ছে লম্বা ঠিক এই পর্যন্ত হওয়া যেটা আপনার হিপ পর্যন্ত পৌছায়। মানে আপনার পাছা পর্যন্ত লম্বা হয়।
২য়তো, আপনি যেটা মাথায় রাখবেন সেটি হলো আপনার শার্টের সামনের দিকে কতটুকু লম্বা হবে। পিছনের দিকতো আমি বল্লাম, সামনের দিক ঠিক কতটুকু পর্যন্ত লম্বা হবে সেক্ষেত্রে আপনি একটি সহজ নিয়ম মাথায় রাকবেন। সেটি হলো আপনি যখন শার্ট পরবেন তখন ঠিক সোজা হয়ে দাঁড়াবেন, সোজা হয়ে দাড়ানোর পর আপনার শার্টের লেন্থ যেন আপনার হাতের কবজি থেকে হাফ ইঞ্চি বড় থাকে। এর বেশিও না এর কমও না। যদি এর কমও হয় তাহলে যেটা ঘটবে সেটি হলো আপনি যখন ইন করে হাত উপরের দিকে তুলবেন বা বডি নারা ছারা করবেন তখন আপনার শার্ট উপরের দিকে অনেকটা উঠা শুরু করবে এবং আপনি কম্পোট ফিল করবেন না। সেক্ষেত্রে এটি মেটেও ফরমাল শার্ট হবে না। আবার যদি দেখেন ১ ইঞ্চি থেকে দের ইঞ্চি উঠেছে তাহলে বুঝবেন আপনার শার্টি ঠিক আছে। সো এটি হচ্ছে ফরমাল শার্টের ফারপেক্ট লেন্থ।
৩য়তো, আপনি যেটা মাথায় রাকবেন সেটি হলো আপনার শার্টের কলার। কলার হচ্ছে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার ফরমাল শার্টকে আরো সুন্দর করে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য। সেক্ষেত্রে আপনি কিছু জিনিস মাথায় রাখবেন, আপনার শার্টের কলারটি আপনার কেজুয়াল শার্টের কলার থেকে সামান্য পরিমান বড় হবে। কেন বড় হবে, কারন হচ্ছে আপনার ফরমাল শার্টের মেইন তিম হচ্ছে আপনি যেন এটি টাই এর সাথে পরতে পারেন। টাই দিয়ে পরবেন এজন্যই আসলে ফরমাল শার্ট তৈরি করা হয়েছে।
আচ্ছা, তারপর এখানে হচ্ছে আরেকটি বিষয়, আপনার শার্টে যদি বাটন দেওয়া ডাইন কলার থাকে সেক্ষেত্রে বুঝবেন এই শার্টি ফরমাল শার্ট নয়। আবার যদি দেখেন বাটন ডাইন আছে তবে হিডেন বাটন ডাইন তাহলে বুঝবেন এটি ফরমাল শার্ট।
যদি হিডেন বাটন না দেওয়া থাকে তবে কলার স্টেইচ দেওয়া থাকবে। সাবধান এই কলার স্টেইচ খুলে ফেলা যাবে না। এটি আপনার কলারকে কুচকে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। সো এই হচ্ছে কলারের সিক্রেট।
৪র্থ, আচ্ছা তারপর আপনি যে জিনিসটি মাথায় রাখবেন সেটি হচ্ছে বাটন, মানে বেতাম। সো বোতামের ক্ষেত্রে যে জিনিসটি মাথায় রাখবেন সেটি হচ্ছে আপনি যে কালারের শার্ট পড়বেন আপনার বোতামটি যেন ঠিক ঐ কালারের হয়। অন্য কোনো কালারের হওয়া যাবে না। এটা হচ্ছে ফরমাল শার্টের মেইন রুলস। যেমন দরেন আপনি ওয়াই কালের শার্ট পড়েছেন তখন আপনার শার্টের বেতাম হবে সাদা। আবার কালো হলে কালো বোতাম। সো এই বিষয়টি আপনি ফরমাল শার্টের ক্ষেত্রে মাথায় রাখবেন
আচ্ছা এবার আপনাকে আরেকটি বিষয় মাথয় রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার শার্টের হাতা ঠিক কতটুকু লম্বা হবে। সেক্ষেত্রে আপনি একটি কথা মাথায় রাখবেন , আপনার শার্টের হাতা হবে আপনার বৃদ্ধা আঙলি যেখান থেকে শুরু হয়েছে ঠিক সে জায়গা পর্যন্ত। এর বেশিও হবে না এর কমও হবে না।
তো আরেকটি জিনিস সেটি হচ্ছে শার্টের প্যাটান, কোন ধরনের প্যাটান বা কোন কালারের শার্টের পছন্দ করবেন. এটা আসলে অনেক বড় একটা ব্যাপার আপনার শার্টকে ফরমাল শার্ট হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য। আচ্ছা এখানে আপনি যে জিনিসটি মাথায় রাখতে পারে সেটি হচ্ছে শার্টের কালার। কালারের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। এখানে আপনি কোন কালারের শার্ট ব্যাবহার করবেন সেটা আপনার রুচির উপর নির্ভর করছে। কিন্তু হে ২ ধরণের শার্টকে ফরমাল শার্ট হিসেবে বেশি বিবেচনা করা হয়।
প্রথমত হচ্ছে এক কালারের শার্ট গুলো, ফরমাল শার্টের কালার হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করে। সেক্ষেত্রে আপনি কিছু কালার বিবেচনা করে দেখতে পারেন সেটি হচ্ছে, ওয়াই কালারের শার্ট, ব্যাল্ক কালারের শার্ট, লাইট ব্লু কালারের শার্ট, ওয়াইট পিংক কালারের শার্ট।
এখন আসেন স্টাইপ শার্টে, স্টাইপ শার্টের ক্ষেত্রে আপনাকে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে সেটি হচ্ছে যে শার্টি যত চিকন স্টাইপ হবে সেই শার্ট টি তত ফরমাল লোক দিবে। সেক্ষেত্রে আপনি পেন্সিল স্টাইপ শার্ট পছন্দ করতে পারেন।
এই শার্ট গুলোর মধ্যে থেকে যে শার্ট গুলো আপনার পছন্দ হয় সেই শার্ট গুলে আপনি কিনতে পারেন।
আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন কোন শার্টগুলো ফর্মাল শার্ট। এখন থেকে আপনি হয়ে যাবেন শার্ট গুরু। এখন আর কেউ আপনাকে সহজে বুকা বানিয়ে কেজুয়াল শার্ট দিয়ে ফরমাল বলতে পারবে না। সো শেষ কথার এক কথা হচ্ছে Be you Be Confident.